গঠনতন্ত্র
সেফ এগ্রিকালচারাল এন্টারপ্রেনার ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (সেইডাব)
Safe Agricultural Entrepreneurs Development Association of Bangladesh (SAEDAB)
প্রতিষ্ঠাকাল: ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছর
ভূমিকা
বাংলাদেশের নিরাপদ কৃষি খাদ্য ও নিরাপদ পণ্য প্রস্তুতকরণ এই এসোসিয়েশনের মূল আলোচনার বিষয়। নিরাপদ কৃষি বলতে মূলত রাসায়নিক ও কীটনাশক মুক্ত চাষাবাদকে বোঝানো হয়, যা অনেকের কাছে 'অর্গানিক' নামেও পরিচিত। দেশের অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের সুরক্ষায় নিরাপদ কৃষি পণ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। 'সেইডাব' মূলত সরকার, কৃষক এবং বাজারের মধ্যে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করবে।
ধারা-১: এসোসিয়েশনের নাম
পূর্ণ নাম: সেফ এগ্রিকালচারাল এন্টারপ্রেনার ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত নাম: সেইডাব (SAEDAB)।
ধারা-২: এসোসিয়েশনের ঠিকানা
প্রধান কার্যালয়: সেক্টর- ১৫, রোড- ১১২, পূর্বাচল, গাজীপুর, ঢাকা।
প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার যেকোনো স্থানে স্থানান্তরিত হতে পারে।
ধারা-৩ ও ৪: আইনগত সত্তা ও কার্য এলাকা
এসোসিয়েশনটি একটি নিজস্ব লোগো ও সীলমোহরধারী আইনানুগ প্রতিষ্ঠান এবং এর কার্য এলাকা সমগ্র বাংলাদেশ।
ধারা-৫ ও ৬: লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
এটি একটি অরাজনৈতিক, লাভজনক এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান। এর প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো:
- রাসায়নিক মুক্ত খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবহারের বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি।
- নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনকারী উদ্যোক্তাদের রাষ্ট্রীয় ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা।
- কৃষি সেচ সহজীকরণ এবং সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন।
- কৃষি উপকরণ (বীজ, চারা, সার, মেশিন) বিদেশ থেকে আমদানি ও কৃষকের কাছে সুলভে পৌঁছে দেওয়া।
ধারা-৭ ও ৮: সদস্যপদ ও যোগ্যতা
সদস্যদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে: উপদেষ্টা, প্রতিষ্ঠাতা, সাধারণ, আজীবন, দাতা, কৃষক, এবং খুচরা বিক্রেতা সদস্য।
- যোগ্যতা: ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো নাগরিক সদস্য হতে পারবেন।
- ট্রেড লাইসেন্স: বাণিজ্যিক সংগঠন হওয়ায় সদস্য ও কৃষকদের ট্রেড লাইসেন্স থাকা আবশ্যক (দাতা ও আজীবন সদস্য বাদে)।
- ফী: আজীবন সদস্য- ৫০,০০০/- টাকা, সাধারণ সদস্য- ১,০০০/- টাকা, কৃষক সদস্য- ১০০/- টাকা।
ধারা-৯ ও ১২: সদস্যপদ বাতিল ও স্থগিত
স্বেচ্ছায় পদত্যাগ, মৃত্যু, নৈতিক অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়া, অথবা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত হলে সদস্যপদ বাতিল হতে পারে। এছাড়া পর পর ৬ মাস চাঁদা না দিলে বা ৩টি সভায় অনুপস্থিত থাকলেও পদ বাতিলের নিয়ম আছে। তবে চূড়ান্ত বাতিলের আগে নোটিশের মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে।
ধারা-১৪ ও ১৫: সাংগঠনিক কাঠামো ও পদবিন্যাস
এসোসিয়েশনের ৪টি প্রধান পরিষদ থাকবে: কেন্দ্রীয় স্থায়ী পরিষদ, কার্যনির্বাহী পরিষদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদ।
- কেন্দ্রীয় স্থায়ী পরিষদ: ৫ সদস্য বিশিষ্ট সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি।
- কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি: ২১ সদস্য বিশিষ্ট। এর মধ্যে সভাপতি ১ জন, সহ-সভাপতি ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক ১ জন এবং বিভিন্ন বিভাগীয় সম্পাদক থাকবেন।
- শাখা কমিটি: বিভাগীয় (৩১ জন), জেলা (৪১ জন), উপজেলা (৪১ জন) এবং ইউনিয়ন (৩৩ জন) পর্যায়ে কমিটি থাকবে।
ধারা-১৮: দায়িত্ব ও কর্তব্য
- সভাপতি: এসোসিয়েশনের প্রধান হিসেবে সভায় সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদকের সাথে যৌথভাবে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
- সাধারণ সম্পাদক: প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যাবতীয় সভা আহ্বান এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
- কোষাধ্যক্ষ: তহবিল সংরক্ষণ, অডিট করানো এবং ব্যাংক হিসাব পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন।
ধারা-২০: সভা ও কোরাম
- বার্ষিক সাধারণ সভা: বছরে অন্তত একবার ১৫ দিনের নোটিশে করতে হবে।
- কার্যনির্বাহী সভা: বছরে অন্তত ১২টি সভা ৩ দিনের নোটিশে অনুষ্ঠিত হবে।
- জরুরী সভা: ১-৩ দিনের নোটিশে এমনকি মুঠোফোনের মাধ্যমেও ডাকা যাবে।
ধারা-২১ ও ২২: আর্থিক ব্যবস্থাপনা
ভর্তি ফী, মাসিক চাঁদা, অনুদান এবং ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে তহবিল গঠিত হবে। এসোসিয়েশনের নামে সিডিউল ব্যাংকে হিসাব থাকবে যা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের মধ্যে যেকোনো ২ জনের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে।
ধারা-৩৪: বিলুপ্তি
অনিবার্য কারণে এসোসিয়েশন বিলুপ্ত করতে হলে সকল দায়দেনা পরিশোধ সাপেক্ষে মোট সদস্যের ৩/৫ অংশের সম্মতিতে নিবন্ধন বাতিল করা যাবে।